বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
‘প্রেমিকের’ সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যু হয় ইয়াছমিনের

‘প্রেমিকের’ সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যু হয় ইয়াছমিনের

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ‘সিএনজি থেকে ফেলে দেওয়া’র পর ইয়াছমিন (১৪) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে যে রহস্য ছিল, তার উদঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত তাকে ফেলে দেওয়া হয়নি। প্রেমিকের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সিএনজি থেকে নিজেই লাফ দিয়েছিল ইয়াছমিন।

এ রহস্যের উদঘাটন করেছেন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) গোলাম দস্তগীর আহমেদ। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইব্রাহিম (১৪) নামে এক কিশোরকে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রহস্য খোলাসা হয়। গত রোববার রাতে উপজেলার মনতলা থেকে ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। তার বাবার নাম মালু মিয়া। তারা উপজেলার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা।

এছাড়া যে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি থেকে ইয়াছমিন লাফিয়ে পড়ে, সেটি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর থানার রামপুর গ্যারেজ থেকে জব্দ করা হয়েছে।

যা ঘটেছিল
আটক কিশোর ইব্রাহিমকে গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

ইব্রাহিম জানায়, রাজনগর গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোবারকের (২৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইয়াছমিনের। গ্রামের সম্পর্কে ইয়াছমিনের মামা হয় মোবারক। ঘটনার দিন ভোরে ইব্রাহিমকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সিএনজিতে করে মনতলা রেলস্টেশনের দিকে যান মোবারক। কিছুদূর গিয়ে আবার ঘুরিয়ে মনতলা জনতা ব্যাংকের কাছে আসলে এর কিছুক্ষণ পর ইয়াছমিন এসে সিএনজিতে ওঠে। এরপর মোবারক তাকে সেদিনই পালিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ইয়াছমিন তা প্রত্যাখ্যান করে সিএনজি থেকে তাকে নামিয়ে দিতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয় মোবারক।

ইব্রাহিম আরও জানায়, রাগের বশে খুব জোরে সিএনজি চালাতে থাকে মোবারক। এক পর্যায়ে ইয়াছমিনের বাড়ির রাস্তা পার হওয়ার সময় সে চলন্ত সিএনজি থেকে লাফ দেয়। এতে সে আহত হয়। ঘটনার পরপরই মোবারক সিএনজি নিয়ে মাধবপুর হয়ে আদাবর চলে আসে। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় পালিয়ে যায়।

এর আগে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল আয়েশা বেগমের। পরে ইয়াছমিনের ৩ বান্ধবী ও স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ মোট ১০ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। গত ১৫ অক্টোবর মাধবপুর থানায় মামলাটি এফআইআর গণ্য করে তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে মামলা রুজুর ৩ দিনের মাথায় এজাহার বর্হিভূত কিশোর ইব্রাহিমকে আটক করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, খুব দ্রুত মূল হোতা মোবরককে গ্রেপ্তার করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com